সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাটি ভাল থাকায় শিম চাষের জন্য অত্যন্ত উর্বর জমি। আব্দুস সাত্তার সানা শিম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাম্পার ফলন, বাজারে শিম ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক সাত্তার সানা। তিনি ২০০৯ সাল থেকেই এই শিম চাষ করে আসছেন। প্রতি বছর ফলন বাড়ার সাথে সাথে তিনি চাষের জমির পরিমাণও বাড়াচ্ছেন। শিম বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকায় বাড়ছে সবজি চাষির সংখ্যা।
চাষি আব্দুস সাত্তার সানা বলেন, ২০০৯ সালে ৩৩ শতক জমিতে শিম চাষ শুরু করি। প্রতি বছরই ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের কামারালী মাঠে প্রায় ৬ শতাধিক কৃষক শিম, বরবটি, টমেটো, ড্রাগন, ওল, কচু, পেপে, খিরাই, কলা, উচ্ছে, পটল, ঝাল, লাউ, ঢেড়স, বেগুন চাষ করছেন। গ্রীষ্মকালীন শিম আবাদ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
যুগিখালীর ২০০০ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় জমিতেই গ্রীষ্মকালীন সবজি ও শিম চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হলে ৩৩ শতক জমিতে চাষসহ খরচ ৪৫ হাজার টাকা পড়ে। এতে শিম বিক্রয় হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। খরচ বাদে মৌসুম শেষে ৭৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি কাজ করে মাঠে ১০ কাঠা জমি ক্রয় করেন। তার এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। আর এক ছেলেকে একটি মুদিখানার দোকান করে দিয়েছেন। তিনি এই চাষের পাশাপাশি মৎস্য ঘের ও গরুর খামার করেছেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক কাজও করেন-ওফাপুর মাঠপাড়া মাঝের খাল-দৈর্ঘ:-১৬৮০মি. প্রস্থ:-২৫ ফুট, গভীরতা-৮ ফুট নিজের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুন:সংস্করণ করেছেন। তিনি এলাকার কৃষকদের সাথে নিয়ে প্রায় সময় সবজি চাষের উপর পরামর্শ মিটিং করে থাকেন।
এ বিষয়ে যুগিখালী ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা তুষার কান্তি দাস বলেন, এই সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ায় গ্রীষ্মকালীন অনেক সবজির চাষ হয়। তবে বর্তমানে যুগিখালী ইউনিয়নে প্রায় আবাদি জমি ও মৎস্য ঘেরের বেঁড়িসহ প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে এই শিম চাষ হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীতে আরও বেশি শিম চাষ হবে। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের চাষাবাদ করার জন্য নিয়মিত ভাবে সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সরকারী ভাবে সার ও বীজ দিচ্ছেন। শুধু মাত্র কৃষকদের কৃষিতে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য। তিনি দিন রাত কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম